Skip to main content

Posts

Bahama

গ্রেট ব্লু হোল রয়েছে বাহামায়। এগুলো আসলে ক্যালসিয়াম কার্বনেটের তৈরি জলের নিচে আশ্চর্য গুহা।বাহামার বিলিজ শহরের ৬০ মাইল পূর্বে লাইট হাউস রিফে আছে এই ব্লু হোলগুলো। হোলের ভেতর পুরো আলাদা একটা জগৎ।প্রায় ৬৫ হাজার বছর আগে পৃথিবীতে শেষবারের মতো বরফ রাজত্ব করেছে। পৃথিবীর সব জল তো জমে জমে জড়ো হয়েছিল মেরু অঞ্চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠও তাই তখন ছিল এখনকার চেয়ে অনেক নিচুতে। বাহামাতে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ ছিল বর্তমানের চেয়েও আরও ১৫০ মিটার নিচুতে। ধীরে ধীরে ক্যালসিয়াম কার্বনেট জাতীয় পদার্থ জমে তৈরি হলো পাথর। সেই পাথর দিয়ে সৃষ্টি হলো গুহার বিশাল কাঠামো। কিন্তু যখন বরফ আবার গলতে শুরু করল, সাগরের জলের উচ্চতাও বাড়তে শুরু করল। জলের নিচে ডুবে গেল সেই কাঠামো। মোটামুটি আজ থেকে ১০ হাজার বছর আগে পুরো গুহাইজলের নিচে ডুবে গেল। আর সৃষ্টি হলো এই ব্লু হোলগুলো।বহু নতুন প্রজাতির জলজ প্রাণীর খোঁজ এ গ্রেট হোলে পাওয়া গেছে।
Recent posts

Homa bird

বিষ্ময়কর এক পাখি যার জীবনধারণ সবপাখি থেকে আলাদা। এই পাখিটির নামহচ্ছে হোমা।হোমা পাখি রেসিং হোমা নামে পরিচিত।এটি একটি বিদেশি পাখি।হোমা পাখি বংশনুক্রমে সাউথ-ইস্ট এশিয়ার।হোমা পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোরপদ্ধতি একটু ভিন্ন। এরা অনেক সময়ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায় তবে এরা বেশির ভাগসময় অনেক উচু থেকে ডিমফেলে দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। হোমা পাখির এই উচুথেকে ডিম ফেলে দিয়ে বাচ্চা ফোটানোরপদ্ধতিটা আশ্চার্যজনক। এরা উচু থেকে ডিমফেলে দেয় বাচ্চা নষ্ট করার জন্য নয়। এরা অনেকউচুতে গিয়ে উড়ন্ত অবস্থায় ডিম ফেলে দেয়এবং সেই ডিম মাটিতে পড়ার আগেই বাচ্চা ডিমথেকে বের হয়ে উড়ে আবার তার মারকাছে ফিরে যায়।হোমা পাখি সাধারণত বিভিন্ন পাখির সাথে লড়াইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। হোমা পাখির ডিমের কুসুম এবং খোলা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।বাজারে হোমা পাখি কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু দামঅনেক বেশি, প্রতি জোড়া হোমা পাখির দাম ৩০০০টাকা থেকে ৫০০০ টাকা তবে সাদা রঙেরহোমা পাখির দাম আরো বেশি। হোমা পাখির অনেক দাম হওয়ার কারণ হচ্ছে এর সৌন্দর্যতা।

Dung beetle

জগতের সবচাইতে শক্তিশালী প্রানীঃমহা দানব, মহামক্তিমান।ইনিনিজের দেহের ওজনের চাইতে প্রায় ১,১৪১ গুন ভারী বস্তুকে তুলতে পারে।সাধারন মানুষের সাথে তুলনা করলে সে ৬ টা ফূল লোডেড ডাবল ডেকারকে পিঠে বহন করতে পারে।শক্তিমত্তার নমুনা। হারকিউলিসের কথা বলছি না, এ হচ্ছে একটা ডাং বিটল।এটা শুধু পৃথিবীর সেরা শক্তিশালী কীট ই না, মানুষের সাথে তুলনায় এটাই জগতের সবচাইতে শক্তিশালী প্রাণি।এই ছোট ছোট প্রাণীদের মধ্যে লুকিয়ে আছে সত্যিকারের অজানা সব রহস্য আর ইতিহাসের সব সেরাদের নমুনা।

Ghost trees

গাছের মধ্যে মানুষের মুখ!এ পৃথিবীতে কত বিচিত্র রকমের যে গাছ রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। তবে গাছের মধ্যে মানুষের মুখ, এমন কথা শুনলে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠারই কথা। সত্যিই তাই।বিস্ময়কর এমন ঘটনাটি ঘটেছে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের একটি গ্রামে। সেখানে এমন একটি সুপারি গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার কাণ্ডের মধ্যে একটি কন্দে অর্থাৎ স্টম্ফীত অংশে মানুষের মুখের আকৃতির ছবি রয়েছে। গাছের মধ্যে মানুষের মুখ! কথাটি শুনে ওই অঞ্চলের মানুষ এটিকে অলৌকিক ব্যাপার ভেবে সবাই দলবেঁধে ছুটে যাচ্ছেন গাছটি দেখার জন্য।সুপারি গাছের কন্দটি অবিকল মানুষের মুখের মতো।এতে দুটি চোখ, মানুষের নাকের আকৃতির লম্বা নাক ও ভ্রু এবং দুটি ঠোঁট রয়েছে। শুনে আরও বিস্মিত হতে হয় যে, গ্রামবাসী গাছটিতে মানুষের মুখাকৃতির এই অংশে ভ্রু নাড়াচাড়াও করতে দেখেছেন। সত্যিই শরীর কেঁপে ওঠার মতো ব্যাপার যেন এটি!শুধু তাই নয়, সেই ভ্রু ও নাক প্রতিদিনই আবার একটু একটুকরে পরিপুষ্টও হচ্ছে। অনেকেই এই গাছটিকে 'ভূতের গাছ' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এলাকাবাসীর একজন বলেছেন, গাছটির কাণ্ডের দিকে প্রথমে যে কন্দটি দেখা যায়, সেটিতেই পরে আস্তে আস্তে ম...

Snake island

‘ইহা ডি কুইমাডা গ্রান্ডি’ (Ilha de Queimada Grande) দ্বীপটি দখল করে রেখেছে সাপেরা। ব্রাজিলের উপকূল এলাকা থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরের এই দ্বীপটিতে এত বেশি সাপের বাস যে, মাটিতে পা ফেলার জায়গা পাওয়াটাও দুষ্কর। সাপগুলোও খুব বিষধর। এক ছোবলেই সেগুলো যে পরিমাণ বিষ উগড়ে দেয়_সঙ্গে সঙ্গে মরে যেতে পারে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ। গোল্ডেন ল্যান্সহেড নামের এক প্রজাতির সাপের বংশবৃদ্ধির হারও খুব বেশি। একটি সাপ একবারেই বাচ্চার জন্ম দিতে পারে প্রায় ৫০টি। সাপগুলোর প্রধান খাবার উড়ে আসা সামুদ্রিক পাখি। উড়তে উড়তে ক্লান্ত পাখিদেরই খেয়ে বেঁচে আছে তারা। দ্বীপে মনুষ্য বসতি নেই, পর্যটকদেরও যাওয়া নিষিদ্ধ। শুধু গবেষণার জন্য অনুমতি নিয়ে যেতে পারেন বিজ্ঞানীরা।

Qui bird

যে পাখির ডানা নেইজীব সৃষ্টির ইতিহাস থেকে বর্তমান, প্রকৃতির 'ধাঁধাগুলো'র মধ্যে অন্যতম একটি হল ডানাহীন পাখি, এমন এক পাখি যার ডানা নেই! প্রায় ১৫০ বছর ধরে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধাঁধা উদ্ধার করেছেন গবেষকরা।বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এসেছে আশ্চর্য এক তথ্য। ৬ কোটি বছর আগে এমন এক পাখি পৃথিবীতে ছিল, যারা উড়তে পারত, সেই পাখির জাত থেকেই জন্ম ডানাহীন পাখির। শুনলে অবাকই লাগে, আগে উড়তে পারত, অথচ এখন পারেনা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগে উড়তে পারে এমন পাখির সমস্ত গুণাবলী এই পাখির মধ্যে থাকলেও বিবর্তিত হতে হতে এই জীব এখন স্তন্যপায়ী প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এও বলছেন, কিউই (নিউজিল্যাণ্ডেরদুর্বল ডানাযুক্ত পাখি) এবং হাতি পাখি (ম্যাডাগ্যাস্কার বিলুপ্ত এক প্রজাতি) এই দুইয়ের এক সমন্বয়ই হল ডানাহীন পাখি। ১৯৯০ সালের এক গবেষণাতেও এই পাখিকে বলা হয়েছিল, এরা আসলে কিউই প্রজাতির 'আত্মীয়'।

Frog

ব্যাঙাচি প্রসব করে যে ব্যাঙ।পূর্ণবয়স্ক ব্যাঙ। সেটা থেকে ডিম। ডিম থেকে ব্যাঙাচি। আবার ব্যাঙাচি থেকে পূর্ণবয়স্ক ব্যাঙ। এই হচ্ছে ব্যাঙের জীবনচক্র। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক প্রজাতির ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন যেগুলো ডিম দেয়ার বদলে সরাসরি ব্যাঙের বাচ্চা অর্থাৎ ব্যাঙাচির জন্ম দিয়ে থাকে।জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন আবিষ্কার এই ব্যাঙ প্রজাতির বাস ইন্দোনেশিয়ার সোলাওয়াসি দ্বীপে। জীববিজ্ঞানীরা কয়েকদশক ধরে এই প্রজাতির সন্ধানে ছিল, কারণ তাদের ধারণা ছিল এগুলোর আচরণে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু আছে। শেষ পর্যন্ত সেটাই প্রমাণিত হল। প্লোস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরড. জিম ম্যাকগোইর এবং ইন্দোনেশিয়ার বাংদু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক জোকো ইসকান্দর মিলে এই ব্যাঙ প্রজাতি আবিষ্কার করেন। যদিও অধ্যাপক জোকো ১৯৯০-এর দশকে প্রথম এই ব্যাঙের সন্ধান পান, তবে এগুলো যে সরাসরি ব্যাঙাচি জন্ম দেয়ার মতো বৈশিষ্ট্যের অধিকারী তা তখন নিশ্চিত করতে পারেননি। বিশ্বব্যাপী প্রায় ছয় হাজারের মতো ব্যাঙ প্রজাতি রয়েছে,যাদের নিষিক্তকরণ শরীরের বাইরে ঘটে। এ ক্ষেত্রে প্রজননের সময়...