Skip to main content

Frog

ব্যাঙাচি প্রসব করে যে ব্যাঙ।পূর্ণবয়স্ক ব্যাঙ। সেটা থেকে ডিম। ডিম থেকে ব্যাঙাচি। আবার ব্যাঙাচি থেকে পূর্ণবয়স্ক ব্যাঙ। এই হচ্ছে ব্যাঙের জীবনচক্র। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক প্রজাতির ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন যেগুলো ডিম দেয়ার বদলে সরাসরি ব্যাঙের বাচ্চা অর্থাৎ ব্যাঙাচির জন্ম দিয়ে থাকে।জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন আবিষ্কার এই ব্যাঙ প্রজাতির বাস ইন্দোনেশিয়ার সোলাওয়াসি দ্বীপে। জীববিজ্ঞানীরা কয়েকদশক ধরে এই প্রজাতির সন্ধানে ছিল, কারণ তাদের ধারণা ছিল এগুলোর আচরণে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু আছে। শেষ পর্যন্ত সেটাই প্রমাণিত হল। প্লোস ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েরড. জিম ম্যাকগোইর এবং ইন্দোনেশিয়ার বাংদু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অধ্যাপক জোকো ইসকান্দর মিলে এই ব্যাঙ প্রজাতি আবিষ্কার করেন। যদিও অধ্যাপক জোকো ১৯৯০-এর দশকে প্রথম এই ব্যাঙের সন্ধান পান, তবে এগুলো যে সরাসরি ব্যাঙাচি জন্ম দেয়ার মতো বৈশিষ্ট্যের অধিকারী তা তখন নিশ্চিত করতে পারেননি। বিশ্বব্যাপী প্রায় ছয় হাজারের মতো ব্যাঙ প্রজাতি রয়েছে,যাদের নিষিক্তকরণ শরীরের বাইরে ঘটে। এ ক্ষেত্রে প্রজননের সময় স্ত্রী ব্যাঙ ডিম পাড়ে এবং পুরুষ ব্যাঙ তার স্পার্ম দিয়ে সেগুলো নিষিক্ত করে। ড. জিম বলেন, তবে এই ক্ষেত্রে আদর্শ প্রজননের বাইরেও অনেকঅদ্ভুত প্রজনন ঘটে থাকে। নতুন যে প্রজাতিটি পাওয়া গেছে সেটি হাতে গোনা ১০/১২ প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত যাদের অভ্যন্তরীণভাবে নিষিক্তকরণ ঘটে। কিন্তু এটিই একমাত্র প্রজাতি যা সরাসরি ব্যাঙাচি জন্ম দিতে সক্ষম। যদিও পুরুষ ব্যাঙ কিভাবে অভ্যন্তরীণভাবে ডিম নিষিক্ত করে তা এখনো এক রহস্য। কারণ প্রচলিত প্রজনন অঙ্গ যা অন্যান্য প্রাণীর থাকে তা ব্যাঙের নেই যা দ্বারা তারা স্পার্ম নিঃসরণ করতে পারে। লন্ডন প্রাণিবিদ্যা সোসাইটির প্রধান সরীসৃপ বিজ্ঞানী বেন টেপলি বিবিসিকে বলেন, এই আবিষ্কার অনেকটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। নতুন প্রজাতি আবিষ্কার খুব একটা দুর্লভ না হলেও নতুন জন্মদান পদ্ধতি আবিষ্কার আসলেই দুর্লভ। সরীসৃপের মাঝে ৪০ ধরনের বেশি জন্মদান পদ্ধতি থাকলেও এটি সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন ধরনের। তিনি আরো বলেন, যে জায়গায় এই ব্যাঙ পাওয়া গেছে সেটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বন উজাড় হওয়া এলাকা। এই আবিষ্কার অনেক মূল্যবান, বিশেষ করে সোলাওয়াসির মতো জায়গার জন্য যেখানকার বেশিরভাগ বন প্রায় শেষ হয়ে গেছে। সুখের খবর এই যে, দেরিহয়ে যাওয়ার আগেই আমরা তাদের সম্পর্কে জানতে পারলাম।

Comments

Popular posts from this blog

Homa bird

বিষ্ময়কর এক পাখি যার জীবনধারণ সবপাখি থেকে আলাদা। এই পাখিটির নামহচ্ছে হোমা।হোমা পাখি রেসিং হোমা নামে পরিচিত।এটি একটি বিদেশি পাখি।হোমা পাখি বংশনুক্রমে সাউথ-ইস্ট এশিয়ার।হোমা পাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোরপদ্ধতি একটু ভিন্ন। এরা অনেক সময়ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায় তবে এরা বেশির ভাগসময় অনেক উচু থেকে ডিমফেলে দিয়ে বাচ্চা ফোটায়। হোমা পাখির এই উচুথেকে ডিম ফেলে দিয়ে বাচ্চা ফোটানোরপদ্ধতিটা আশ্চার্যজনক। এরা উচু থেকে ডিমফেলে দেয় বাচ্চা নষ্ট করার জন্য নয়। এরা অনেকউচুতে গিয়ে উড়ন্ত অবস্থায় ডিম ফেলে দেয়এবং সেই ডিম মাটিতে পড়ার আগেই বাচ্চা ডিমথেকে বের হয়ে উড়ে আবার তার মারকাছে ফিরে যায়।হোমা পাখি সাধারণত বিভিন্ন পাখির সাথে লড়াইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়। হোমা পাখির ডিমের কুসুম এবং খোলা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।বাজারে হোমা পাখি কিনতে পাওয়া যায় কিন্তু দামঅনেক বেশি, প্রতি জোড়া হোমা পাখির দাম ৩০০০টাকা থেকে ৫০০০ টাকা তবে সাদা রঙেরহোমা পাখির দাম আরো বেশি। হোমা পাখির অনেক দাম হওয়ার কারণ হচ্ছে এর সৌন্দর্যতা।

Ghost trees

গাছের মধ্যে মানুষের মুখ!এ পৃথিবীতে কত বিচিত্র রকমের যে গাছ রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। তবে গাছের মধ্যে মানুষের মুখ, এমন কথা শুনলে রীতিমতো চোখ কপালে ওঠারই কথা। সত্যিই তাই।বিস্ময়কর এমন ঘটনাটি ঘটেছে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের একটি গ্রামে। সেখানে এমন একটি সুপারি গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার কাণ্ডের মধ্যে একটি কন্দে অর্থাৎ স্টম্ফীত অংশে মানুষের মুখের আকৃতির ছবি রয়েছে। গাছের মধ্যে মানুষের মুখ! কথাটি শুনে ওই অঞ্চলের মানুষ এটিকে অলৌকিক ব্যাপার ভেবে সবাই দলবেঁধে ছুটে যাচ্ছেন গাছটি দেখার জন্য।সুপারি গাছের কন্দটি অবিকল মানুষের মুখের মতো।এতে দুটি চোখ, মানুষের নাকের আকৃতির লম্বা নাক ও ভ্রু এবং দুটি ঠোঁট রয়েছে। শুনে আরও বিস্মিত হতে হয় যে, গ্রামবাসী গাছটিতে মানুষের মুখাকৃতির এই অংশে ভ্রু নাড়াচাড়াও করতে দেখেছেন। সত্যিই শরীর কেঁপে ওঠার মতো ব্যাপার যেন এটি!শুধু তাই নয়, সেই ভ্রু ও নাক প্রতিদিনই আবার একটু একটুকরে পরিপুষ্টও হচ্ছে। অনেকেই এই গাছটিকে 'ভূতের গাছ' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এলাকাবাসীর একজন বলেছেন, গাছটির কাণ্ডের দিকে প্রথমে যে কন্দটি দেখা যায়, সেটিতেই পরে আস্তে আস্তে ম...

Dung beetle

জগতের সবচাইতে শক্তিশালী প্রানীঃমহা দানব, মহামক্তিমান।ইনিনিজের দেহের ওজনের চাইতে প্রায় ১,১৪১ গুন ভারী বস্তুকে তুলতে পারে।সাধারন মানুষের সাথে তুলনা করলে সে ৬ টা ফূল লোডেড ডাবল ডেকারকে পিঠে বহন করতে পারে।শক্তিমত্তার নমুনা। হারকিউলিসের কথা বলছি না, এ হচ্ছে একটা ডাং বিটল।এটা শুধু পৃথিবীর সেরা শক্তিশালী কীট ই না, মানুষের সাথে তুলনায় এটাই জগতের সবচাইতে শক্তিশালী প্রাণি।এই ছোট ছোট প্রাণীদের মধ্যে লুকিয়ে আছে সত্যিকারের অজানা সব রহস্য আর ইতিহাসের সব সেরাদের নমুনা।